স্বদেশ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে এখন থেকে আর কেন্দ্র পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন বিষয়ক ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘কেন্দ্র পরিবর্তন করে এখন আর টিকা নেওয়ার ব্যবস্থা থাকছে না, এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার যে কেন্দ্র রয়েছে, সেই কেন্দ্র থেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া হবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন এখন খুলে দেওয়া হয়েছে এবং ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ এখন টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। টিকার নিবন্ধনের পর এসএমএস দেওয়া হবে এবং তারপর নির্দিষ্ট দিনে কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’
কেউ নির্দিষ্ট দিনের আগে অথবা পরে টিকা নিতে চেষ্টা করেন, তাহলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘টিকা নেওয়ার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যভাণ্ডারে যাবে না। আর তথ্যভাণ্ডারে না গেলে টিকার দ্বিতীয় ডোজ এবং টিকার সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হবে। বিষয়টি সবাইকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। এটা খুবই জরুরি বিষয়।’
টিকা নিতে হলে অবশ্যই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানান তিনি। ডা. শামসুল হক বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশন করেই আমাদের টিকা নিতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না, এ কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে।’
কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় দেশে ফাইজার বায়োএনটেকের ১ লাখ ৬০২ ডোজ টিকা এসেছে। ঢাকার চারটি মেডিকেল কলেজ ও তিনটি বিশেষায়িত হাসপাতালে এ টিকা দেওয়া হচ্ছে। এই সাত হাসপাতালে এখনো ফাইজারের টিকাই দেওয়া হবে। ফাইজারের টিকা শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেখানে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানান ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার এই সাত হাসপাতাল বাদে বাকি যে ৪০টি টিকাদান কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে ১৩ জুলাই থেকে মডার্নার টিকা দেওয়া শুরু হবে।’
সৌদি আরব এবং কুয়েতসহ অন্যান্য দেশেও মডার্নার টিকা গ্রহণ করা হচ্ছে। তাই প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধ ঢাকার সাতটি কেন্দ্র ছাড়া ঢাকা শহরের অন্যান্য টিকাদান কেন্দ্র এবং দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায় কেন্দ্র বাছাই করার। এতে টিকা নিতে প্রবাসী শ্রমিকদের এখন যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা আর থাকবে না বলে জানান শামসুল হক।
এদিকে, বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের কথা উল্লেখ করে ভ্যাকসিন বিষয়ক ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব বলেন, ‘অনেক বিদেশগামী শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের জন্য টিকা প্রয়োজনীয়। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে এনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শিগগিরই সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারব এবং কীভাবে তারা টিকা নিতে পারবেন, সে বিষয়ে নির্দেশনা তৈরি করার চেষ্টা করছি।’